
জামিয়া কাশিফুল উলূম ঢাকা ছাত্রদের সহিহ তা‘লীম-তরবিয়তের জন্য ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা, কড়া শাসন প্রক্রিয়া, নিয়মানুবর্তিতার শতভাগ পাবন্দির মাধ্যমে আসলাফদের নমুনায় ইলম চর্চা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখানে যারা পড়বে, বুঝে-শুনেই শতভাগ নিয়ম-কানুন মেনেই পড়ালেখা করবে, যাতে করে একজন ত্বালেবে ইলম পুরো উম্মতের নমুনা হতে পারে। ইলম হাসিলের জন্য দাওয়াত, তা‘লীম, তাযকিয়া ও মুজাহাদার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাকওয়া ও ইত্তেবায়ে সুন্নতের নিখাঁদ পাবন্দীর সাথে ইলমি মেহনত করানো হয় এখানে। কঠোর শৃংখলা, শতভাগ নিয়ম-কানুনের পাবন্দি, উন্নত চিন্তা ও পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লালন করা হয় এই প্রতিষ্ঠানে। কেবল পাঠদানই উদ্দেশ্য নয়? কেবল মানসম্মত পাঠদানই জামিয়া কাশিফুল উলূম ঢাকা’র উদ্দেশ্য নয়। বরং আমলের সাথে ইলম চর্চার একটি তাযকিয়া ভিত্তিক মাদরাসা হিসাবে কাজ করছি আমরা। পাশাপাশি ছাত্রদের চিন্তার হেফাজতের একটি বিপ্লবী মিশন, চারিত্রিক সংশোধনের একটি আত্মোন্নয়ন কেন্দ্র, সুন্নাহ ভিত্তিক জীবনচর্চার এক প্রাচীনতম পদ্ধতির প্রশিক্ষণালয়, দাওয়াতি মেজাজের মারকাজিয়ত, তরবিয়ত ও মুজাহাদার এক আমলী খানকাহ, আত্মসম্মানবোধ আর সৃজনশীলতার একটি মেধাবিকাশ কেন্দ্র হিসাবে জামিয়া কাজ করছে। আমলের দিক দিয়ে হযরত সাহাবায়ে কেরামের আদর্শে আমরা ত্বালেবে ইলমদের গড়ে তুলতে চাই আর চিন্তার ক্ষেত্রে আগামি বিশে^র নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার চিন্তা-চেতনা নিয়ে কাজ করছে জামিয়া কাশিফুল উলূম ঢাকা। পাঠদান পদ্ধতি ও সময়ের হেফাজত জামিয়া কাশিফুল উলূম ঢাকা’র পাঠদান পদ্ধতি যেহেতু সেমিস্টার ভিত্তিক, তাই একেবারেই নতুন এক পদ্ধতি, পরিকল্পিত পাঠদান ও দরসের পড়া দরসে শিখার এক অভিনব কৌশলে ছাত্ররা আনন্দের সাথে চাপ ছাড়াই পড়ালেখা করতে পারে। এছাড়া পরিকল্পিত সময়বণ্টন ও প্রতিমুহূর্ত পুঙ্খানোপুক্সক্ষ সময়ের হেফাজতের কারণে আমল ও পড়ালেখায় বরকত হয়। প্রতিটি সময় ও আমল এবং লেখাপড়ার নিগরানীর জন্য ২৪ ঘণ্টা একাধিক আবাসিক উস্তাদের দায়িত্ব বণ্টন আছে। জামিয়ার শিক্ষক-স্টাফ সকলেই সময়ের ইহতেমাম করে থাকেন আলহামদুলিল্লাহ। আমরা চাই, শুধু মানসম্মত পড়ালেখাই নয়, বরং সাহাবাদের মতো আমলে দাওয়াতের সাথে ইলমচর্চা করা। আপনিও সাথে থাকুন... এ বিষয়ে চিন্তাশীল ও দ্বীনী শিক্ষানুরাগী ভাই-বোনদের পরামর্শ আমাদের চলার পথের পাথেয় হবে। আপনার সন্তান বা আত্মীয়-স্বজনকে জামিয়া কাশিফুল উলূম ঢাকায় ভর্তি করানোর ফলে আপনি এমন একটি শিক্ষাবিপ্লব ও ইনকিলাবের সাথে জড়িত হবেন, যা আপনার সৌভাগ্য, পরকালীন নাজাত ও সদকায়ে জারিয়ার বড় একটি মাধ্যম হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন। সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ ঢাকা।